দুবাই সরকার কর্তৃক প্রবাসী বাংলাদেশিকে “ফ্রন্টলাইন হিরো” হিসেবে স্বীকৃতি

উপসাগরীয় দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক রাজধানী দুবাই মিউনিসিপালিটির পেস্ট কন্ট্রোল ডিপার্টমেন্টের নিবেদিত প্রাণ কর্মী কুমিল্লার তরুণ মোশাররফ শহীদ(৩৮) কে দুবাই সরকার ফ্রন্টলাইন হিরো’র স্বীকৃতি দিয়েছে, কোভিড যু;;;দ্ধে নিরংকুশ ত্যাগের বিনিময়ে তার কাজ করে যাওয়ার জন্য।

এই বাংলাদেশী তরুণটি ২৪ এপ্রিল ২০২০ ইং তারিখে যখন দুবাইর জুমেইরাহ রোডে স্টেরিলাইজেশান বা জীবানুমুক্তির কাজে ১৬ ঘন্টার শিফট করছিলেন তখন দেশে তার স্ত্রীর প্রসব বেদনা ওঠে।

“আমি মার্চ থেকে দুবাইকে করোনা সং;ক্রমণ মুক্তির টাস্ক ফোর্সে একজন ফ্রন্ট লাইনার হিসেবে কাজ করছিলাম।

সেদিন কাজের ফাঁকে ফাঁকে পুরো সময় অনাগত কন্যা ও স্ত্রীর জন্য দোয়া করছিলাম, উৎকণ্ঠায় কেটেছে পুরোটা দিন।রাতে ডরমেটরিতে ফিরে যেয়ে যখন জানতে পারলাম স্ত্রী কন্যা সুস্থ আছে কেবল তখনই একটু স্বস্তি পেলাম।”

২০০৬ সাল থেকে তিনি দুবাই মিউনিসিপ্যালিটির এমার্জেন্সি পেস্ট কন্ট্রোল ডিপার্টমেন্ট এ কাজ করছেন। যখন করোনা এসে হানা দিল এরাবিয়ান গালফ উপকূলের এই দেশটিতে তখন তাকে আত্মসুরক্ষা এবং জী;বানুমুক্তির কাজে ব্যবহৃত কেমিক্যালের মিশ্রণ ও ব্যবহারের উপর বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।

“মাস্ক, গ্লাভস, ফেইস শিল্ড,প্রটেক্টিভ সুট এ সজ্জিত হয়ে কারফিউ চলাকালে কখনো হেভি ভেহিকলে, কখনো বাইকে কখনো ড্রো;ন এর মাধ্যমে জী;বা’ণু মুক্তির কাজ করতে হতো আমাদেরকে। কাজগুলো সহজ ছিল না।

কিন্তু আমি দিনের পর দিন রাতের পর রাত কাজ করে যেতাম,বুঝতে পারতাম এটা কত জরুরী। অন্যদিকে আমার পরিবার-পরিজন উৎকণ্ঠায় থাকত আমি আবার করোনায় আ;ক্রান্ত হয় কিনা।

৭ ভাই দুই বোনের বড় পরিবার আমাদের।সবাই আমার উপর নির্ভরশীল। কিন্তু আমি জানি আমার দায়িত্ব কত গুরুত্বপূর্ণ।আমাদেরকে করোনা মোকাবেলা করতে শেষ পর্যন্ত ল;;ড়ে যেতে হবে। আমি স্বপ্নে দেখি আমার শিশু কন্যাকে একদিন বুকে জড়িয়ে ধরবো, সে দিনটির স্বপ্নে আমার কাটে।”

ব্যক্তিগত ত্যাগের বিনিময়ে নাগরিক সুরক্ষায় কাজ করার জন্য শহীদের ত্যাগী ভূমিকা আমিরাত প্রবাসে লাল সবুজের বাংলাদেশকে মহীয়ান করলো আরেকবার। -জাহাঙ্গীর কবির বাপ্পির ওয়াল থেকে